Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

Title
শ্রীমঙ্গলে স্ত্রী কর্তৃক স্বামী খুন, বিভীষন হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন।
Details
স্ত্রী কর্তৃক স্বামী খুন, বিভীষন হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন। গত-২৭/০৩/২০১৭ইং তারিখ সকাল অনুমান-০৮.৩০ ঘটিকার সময় সংবাদ পাওয়া যায় যে, শ্রীমঙ্গল থানাধীন জাগছড়া চা বাগানে একজন ব্যক্তি নিজের মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে আঘাত করে নিজেকে আহত করে এবং পরে গলায় ফাঁস লাগাইয়া আত্মহত্যা করিয়াছে। উক্ত সংবাদ পাইয়া শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব কে এম নজরুল ইসলাম সঙ্গীয় এসআই/ফজলে রাব্বী ও ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া বিভীষন বাউরী (৫০), পিতা-মৃত সুখরাম বাউরী, এর মৃত দেহ পাইয়া উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করতঃ মৃত্যুর সঠিক কারন নির্ণয়ের জন্য লাশ ময়না তদন্তের নিমিত্তে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল মৌলভীবাজার বরাবর প্রেরন করেন। ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্ত হইয়া পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, মৃত বিভীষন বাউরী (৫০)’এর মৃত্যু কোন আত্মহত্যা নয় ইহা একটি হত্যাকান্ড। অতঃপর ঘটনার বিষয়ে সঠিক তথ্য উদঘাটনের জন্য অফিসার ইনচার্জ জনাব কে এম নজরুল এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব মোঃ জসীম, পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন জনাব মোঃ সোহেল রানা, এসআই/ফজলে রাব্বী, এসআই/রফিকুল ইসলাম সহ মৃত বিভীষন বাউরীর স্ত্রী সুশীলা বাউরী ও মেয়ে বৃষ্টি বাউরীকে থানায় আনিয়া ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মৃত বিভীষন ব্উারীর স্ত্রী সুশীলা বাউরী ঘটনার বিষয়ে স্বীকার করেন যে, মৃত বিভীষন বাউরী নেশাগ্রস্থ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের প্রায়ই প্রহার করতেন। এ কারনে মৃতের স্ত্রী সুশীলা বাউরী মৃতের উপর ক্ষীপ্ত ছিলেন। ঘটনার দিন ইং-২৬/০৩/২০১৭ইং তারিখ রাত্রীবেলা অনুমান-১০.০০ ঘটিকার সময় মৃত বিভীষন বাউরী তার স্ত্রী সুশীলা বাউরীকে মারধর ও ঘরের তৈজসপত্র ভেঙ্গে ফেললে তার স্ত্রী সুশীলা বাউরী স্বামী বিভীষন বাউরীকে মাথায় দা দিয়া কোপ দিয়া ও এলোপাতারী মারধর করে উক্ত হত্যাকান্ড ঘটায়। উক্ত ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানার এসআই/ফজলে রাব্বী বাদী হইয়া মৃতের স্ত্রী সুশীলা বাউরী (৪৫) কে আসামী করিয়া শ্রীমঙ্গল থানার মামলা নং-১৩, তারিখ-১২/০৩/২০১৮, ধারা-৩০২ দঃ বিঃ রুজু করেন এবং উক্ত আসামীকে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। আসামী সুশীলা বাউরী বিজ্ঞ আদালতে সেচ্ছায় উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন এবং ঘটনার বিষয় স্বীকার করেন।
Images
Attachments
Publish Date
17/03/2018
Archieve Date
20/03/2018